• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকরা হতাশ

বাজারে হাজার হাজার মিষ্টি কুমড়া নিয়ে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকরা হতাশ

  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

মো. রফিকুল ইসলাম সান, সাঁথিয়া (পাবনা)

সাঁথিয়ায় একসময় ব্যাপক ফলন হতো মিষ্টি কুমড়ার। কিন্তু তখন মিষ্টি কুমড়া খুবই অবহেলিত ছিল। আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন গ্রামে বলা হতো মাটি লাউ, মিষ্টি কদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর বলে এই সবজি বর্তমানে সারা দেশে সমাদৃত। মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদে কৃষকরা অধিক মনোযোগী হওয়ায় ধীরে ধীরে এ সবজির ফলন বাড়তে থাকে, কিন্তু এবার সবজিটির ফলন বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফা পাওয়া যায় বলে কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন কৃষকরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাঁথিয়ার চতুর বাজারসহ উপজেলার কাশিনাথপুর, বোয়ালমারী, ধুলাউড়ি, বনগ্রাম, জোরগাছা বাজারে হাজার হাজার মিষ্টি কুমড়া নিয়ে জড়ো হয়েছেন কৃষকরা। উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের কৃষক আবদুল মফিজ মিয়া বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বেশি দামের আশায় রেখে দিয়ে এখন তা পচে যাচ্ছে। ফেচুয়ান গ্রামের কৃষক এসকেন মোল্লা জানান, তারও একই অবস্থায়। আবুল হাসেম ও উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আমার প্রতিবেশী কৃষক আজগর, নয়ন, বাদাম, দয়াল, মজিদ, সালাম, করিমসহ অনেকে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। বেশি দামের আশায় তারাও ফসল ঘরে সংরক্ষণ করে রাখেন। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। ঢাকা থেকে আসা মিষ্টি কুমড়ার বেপারি মো. আরদোশ আলী বলেন, গত বছর যে কুমড়া তিন হাজার করে কিনেছি তা এবার কিনছি ১৫শ’ টাকা করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রঞ্জন কুমার প্রামাণিক বলেন, গত শীত মৌসুমে রবিশস্যের মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে এবার ১২শ’ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি। চাষাবাদ ভালো হলেও চাহিদা কম থাকায় বিক্রির সময় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads